শ্রীদেবীর কাজল কালো চাউনি আর মুখে গান 'মেরে হাত মে ন ন চুরিয়া হে '। ৯-য়ের দশকের এই দৃশ্য যুবতীদের মন জয় করেছিল। ফ্যাশন সচেতন আধুনিকাদের এই কাঁচের চুরি হয়ে উঠেছিল স্টাইল স্টেটমেন্ট। পোশাকের ম্যাচিং হাত ভরা চুরি হয়ে উঠেছিল এক অভিনব স্টাইল। উত্তর ভারতের স্বামীর সোহাগ লুকিয়ে থাকতো হাত ভরা চুরি আর মেহেন্দি তে। একটা সময় ছিল যখন মেয়েরা হাতের মেহেন্দির রং ফিকে হতে দিতে চাইতেন না।
উত্তর ভারতের অনুকরণে আমাদের রাজ্যে চুরির ফ্যাশন আসতে বেশি সময় লাগেনি। ৯ দশকে কাঁচের চুরি রোমরমা চাহিদা বাজারে ছিল। কলকাতা শহরতলীতে সে সময় জনপ্রিয়তা এমন পর্যায়ে পৌঁচায় চুরি এবং বালার নিত্যনতুন ডিজাইন তৈরি করতেন কারিগররা।
ঝুমকা গিরা রে ----------------
এত মোটা চুরি চ্যাপ্টা তার গরন আর তার তলা দিয়ে চেইন দিয়ে ঝুমকা ঝুলছে। এই চুরির প্রচলন হয়েছিল ২০০০ সাল থেকে প্রায়। সেই সময় চুরির বদলে বাজারে চল ছিল চওড়া চুড়িতে । এই চুড়ি সাধারণত ব্রাশ অক্সিডাইস দিয়ে তৈরি। তারপর রাজস্থানের চূড়ার মোটা প্লাস্টিকের চল শুরু হলো বাঙ্গালীদের মধ্যেও।
এবার চুরি থেকে একটু বালার নকশার কথায় আসছি। বেশ কয়েক বছর ধরে চওড়া চুড়ি নজর কারছে ফ্যাশন প্রিয় আধুনিকাদের।একটু চওড়া আকৃতির বেশি জনপ্রিয় হয়েছে কখনো সেগুলো আবার মাল্টি কালারও হয়েছে।
স্টোনের চাহিদা -------- বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে রাজস্থানী গয়নাতে স্টোনর কাজ বেশ জনপ্রিও। অনুকরণ ভারতের অন্যান্য রাজ্যও হয়। সম্প্রতি হীরের গয়নার প্রচলনও হয়েছে। বিভিন্ন ওয়েস্টার্ন ডিজাইন চোখে পড়ছে আজকাল। বেশ কিছু হীরের গয়না নজর কাটছে স্টোন সেটিং জাঙ্ক জুয়েলারিতে। এরকম বিভিন্ন বদলকে সঙ্গী নিয়ে চুড়ি আর বালা বাজারে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে নিত্য নতুন নকশা নিয়ে।
প্রতিবেদক - রুপা রজক
You must be logged in to post a comment.