আর হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন। তার পরেই শুরু বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো। প্রতিটি ঘরে ঘরেই এক আলাদা উন্মাদনা। আর দুর্গাপুজো মানেই মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় স্তোস্ত্রপাঠ। ভোররাতে বেজে উঠবে ‘ যা দেবী সর্বভূতেষু’ …।
বর্তমানে এফ এম রেডিওর যুগ। কিন্তু আকাশবাণীর তরফ থেকে মহালয়ার স্তোত্রপাঠ আজও আবেগের অপর নাম। পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনায় প্রতিটি গঙ্গার ঘাটে ঘাটেই তর্পণ চলবে।
পুজো যতই এগিয়ে আসতে থাকে, ততই যেন পাড়ার ব্যস্ততা বাড়তে থাকে। চারদিকে প্যান্ডেলের বাঁশ বাঁধা, দিকে দিকে অ্যাডের হোর্ডিং, সব নিয়েই প্রাণোচ্ছল পরিবেশ। পুজো মানেই নিজের প্রিয় মানুষের সঙ্গে গড়িয়াহাট থেকে শ্যামবাজার, নিউমার্কেট হাত হাত রেখে ঘুরে বেড়ানো। পুজো মানে ঠাকুর দেখার প্ল্যানিং। কবে কোন শাড়ির সঙ্গে কোন কানের দুল, কোন ড্রেসের সঙ্গে কেমন জুতো সবই আগে থেকে ঠিক করে নেওয়া। পুজো মানে প্রবাসী বাঙালিদের ঘরে ফেরার টান। আর যাদের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয় তাদের আয়োজন প্রায় সারাবছর ধরেই থাকে। তবে পুজোর ঠিক এক মাস আগে থেকে সেই ব্যস্ততা চরম আকার নেয়। সব মিলিয়ে পুজো মানে বাঙালির নিজেকে আবার নতুন করে খুঁজে পাওয়া|
You must be logged in to post a comment.