আসলে কাজের প্রয়োজনে আজকাল অধিকাংশ মেয়েকেই বাড়ির বাইরে বেরোতে হয়। সারাদিনের রোদ-ঘাম-দূষণে ত্বকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়। অনেকেই বাড়ি ফিরে ক্লান্তির জেরে ঠিক মতো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করেন না। রোজকার সাধারণ এই নিয়ম না মেনে ফেসিয়াল, ব্লিচ করলে ত্বক মোটেই ভাল থাকে না। এতে ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। ত্বকে কালো ছোপ পড়ে, ত্বকের বয়েস অনেক বেশি লাগে। আর তাই পুজোর আগে ফেসিয়াল না করে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই ফেসপ্যাক। ত্বক আর চুল নিয়ে আজকাল সকলেই খুব সচেতন। নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নেওয়া, ক্রিম-সাবান-তেল মাখা, সিরাম-সানস্ক্রিনের ব্যবহার, সময়মতো ফেসিয়াল সবই চলতে থাকে সেখানে। এত কিছুর পরও যে সব সময় ত্বক পরিষ্কার থাকবে এমনটা একেবারেই নয়।
উপকরণ যা লাগবে তা সামান্যই আর মজুত থাকে সবার বাড়িতেই। ভেসলিন আর টুথপেস্ট যে ত্বকের জন্য এত ভাল হতে পারে তা ব্যবহার না করলে বুঝতেই পারবেন না।
Toothpaste for skin: একটা বাটিতে সাদা যে কোনও টুথপেস্ট খুব সামান্য নিয়ে ওর মধ্যে ছোট চামচের হাফ চামচ পেট্রোলিয়াম জেলি নিতে হবে। এই দুই উপকরণ খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। ভাল করে মিশলে একটা ক্রিম তৈরি হবে। এবার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিয়ে হালকা মুছেই এই ক্রিম টা লাগিয়ে নিতে হবে। হঠাৎ করে কোনও কারণে হাত পুড়ে গেলে কিংবা ছ্যাঁকা খেলে ঘরোয়া সমাধান হিসেবে প্রথমেই আমরা পেস্ট লাগাই। এই পেস্ট লাগানোর মূল কারণ হল যাতে ফোসকা না পড়ে আর পেস্ট লাগালে একটা ঠান্ডা ভাবও থাকে।
পেস্টের মধ্যে যে উপাদান থাকে তা ব্রণ, ফুসকুড়ি দূরে রাখে। আর তাই পেস্ট লাগালে মুখ থেকে প্রচুর ময়লা বেরিয়ে আসে। ১০-১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। এবার ইষদুষ্ণ জলে সুতির তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে ফেলতে হবে। মুখের কালো ছোপ তুলে দিতেও এই প্যাক ভাল কাজ করে। আর ভেসলিন থাকায় মুখ অনেক বেশি নরম থাকে। যে কারণে মুখে বয়সের ছাপ পড়ে না। বজায় থাকে মুখের আর্দ্রতা। এবার হাফ চামচ নারকেল তেলের মধ্যে হাফ চামচ অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। শুকনো মুখে এই দুই এর মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এতে ত্বক গ্লোয়িং হবে, নরম থাকবে সঙ্গে বয়সের ছাপও একেবারে মুছে দেবে।
You must be logged in to post a comment.